Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ১৯১৩ সালের ২৭ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কল্পনা কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন। ১২ বছর বয়সে ক্ষুদিরাম ও কানাইলাল দত্তের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড তাঁকে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানে আগ্রহী করে। তিনি ছাত্রী সংঘে যোগ দেন। পরে পুর্ণেন্দু দস্তিদার তাঁকে মাস্টারদা সূর্য সেন পরিচালিত বিপ্লবী গোষ্ঠীতে যোগদানে আগ্রহী করেন। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল 'চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন' ঘটনার পর কল্পনা চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। সূর্য সেনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তখন অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হয়ে বিচারাধীন ছিলেন। কলকাতা থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরকদ্রব্য বহনের দায়িত্ব দেওয়া হয় কল্পনাকে। এ সময় প্রায়ই তিনি মাস্টারদার সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। সহযোদ্ধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সঙ্গে গুলি চালনার প্রশিক্ষণও নেন। ১৯৩১ সালে সূর্য সেন, কল্পনা ও প্রীতিলতাকে চট্টগ্রামের 'ইউরোপিয়ান ক্লাব' আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আক্রমণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে বালকের ছদ্মবেশে আক্রমণস্থল জরিপ করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ১৯৩৩ সালের ১৯ মে কল্পনা তাঁর দলের কয়েকজনসহ ধরা পড়েন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলার দ্বিতীয় বিচারপর্বে সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসি এবং কল্পনাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের রায় প্রদান করা হয়। ১৯৩৯ সালে কারামুক্ত হওয়ার পর ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আবার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন সিপিআই কর্মী হিসেবে। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি দলের কৃষক ও নারী ফ্রন্ট গঠন করেন। ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রাম থেকে বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৪৭ সালের পর তিনি ভারতে চলে যান এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। ১৯৯৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবী কল্পনা দত্ত দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।





বিপ্লবী কল্পনা দত্ত ১৯১৩ সালের ২৭ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার শ্রীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯২৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কল্পনা কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন। ১২ বছর বয়সে ক্ষুদিরাম ও কানাইলাল দত্তের বিপ্লবী কর্মকাণ্ড তাঁকে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানে আগ্রহী করে। তিনি ছাত্রী সংঘে যোগ দেন। পরে পুর্ণেন্দু দস্তিদার তাঁকে মাস্টারদা সূর্য সেন পরিচালিত বিপ্লবী গোষ্ঠীতে যোগদানে আগ্রহী করেন। ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল 'চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন' ঘটনার পর কল্পনা চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। সূর্য সেনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তখন অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেপ্তার হয়ে বিচারাধীন ছিলেন।
কলকাতা থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরকদ্রব্য বহনের দায়িত্ব দেওয়া হয় কল্পনাকে। এ সময় প্রায়ই তিনি মাস্টারদার সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন। সহযোদ্ধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সঙ্গে গুলি চালনার প্রশিক্ষণও নেন। ১৯৩১ সালে সূর্য সেন, কল্পনা ও প্রীতিলতাকে চট্টগ্রামের 'ইউরোপিয়ান ক্লাব' আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আক্রমণের মাত্র এক সপ্তাহ আগে বালকের ছদ্মবেশে আক্রমণস্থল জরিপ করতে গিয়ে তিনি গ্রেপ্তার হন। পরে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
১৯৩৩ সালের ১৯ মে কল্পনা তাঁর দলের কয়েকজনসহ ধরা পড়েন। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলার দ্বিতীয় বিচারপর্বে সূর্য সেন ও তারকেশ্বর দস্তিদারকে ফাঁসি এবং কল্পনাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের রায় প্রদান করা হয়। ১৯৩৯ সালে কারামুক্ত হওয়ার পর ১৯৪০ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর তিনি আবার ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হন সিপিআই কর্মী হিসেবে। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি দলের কৃষক ও নারী ফ্রন্ট গঠন করেন। ১৯৪৬ সালে চট্টগ্রাম থেকে বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৪৭ সালের পর তিনি ভারতে চলে যান এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। ১৯৯৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিপ্লবী কল্পনা দত্ত দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply