বাংলাদেশে চলমান সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, বিবিসি বাংলা, ঢাকা ফতরের একজন মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে চলমান সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা নিন্দনীয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ এই বিবৃতি দিয়েছেন । বাসে অগ্নি সংযোগ এবং ট্রেন লাইনচ্যুতি ঘটানোর মতো বিষয়গুলোকে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর । রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সহিংসতার ব্যবহারকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে । একটি গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের কোন যুক্তি থাকতে পারেনা বলেও মনে করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর । বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে সব বাংলাদেশির মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে । শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির সুযোগ দিতে সরকারের প্রতিও আহবান জানানো হয় । এছাড়া সব রাজনৈতিক দল যাতে তাদের কর্মীদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয় সে আহবান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । এদিকে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন গত কাল এক বিবৃতিতে চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন । বাংলাদেশের চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র সহিংসতায় উসকানি দেওয়া থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন মি: গিবসন । যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। তবে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ, হরতাল কর্মসূচির মধ্যে পেট্রোল বোমা হামলাসহ নাশকতার ঘটনাগুলো ঘটেছে। সে কারণে বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএনপিকে। দলটি অবশ্য নাশকতার জন্য আবারও সরকারকেই দায়ী করেছে। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারপার্সন হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের আন্দোলনের কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্য থেকে নাশকতা করা হচ্ছে। “অধিকাংশ নাশকতার ঘটনা সরকার দলীয়রা করছে। বিএনপিকে দোষারোপ করার জন্য। বিএনপি সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।” বিএনপির এই নেতা দাবি করেছেন, নাশকতা,সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়া বক্তব্য দিচ্ছেন এবং বিএনপির পক্ষ থেকেও ঘটনাগুলোর নিন্দা জানানো হচ্ছে। হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলছেন, মত প্রকাশের সব ধরনের অধিকার সরকার হরণ করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগও সহিংসতা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের সাথে একমত। কিন্তু তারা বিএনপি’র অভিযোগ মানতে রাজি নয়। আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ তাদের সেই পাল্টা অবস্থানই তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, “তালেবান,আলকায়দা বা আইএস এর পদ্ধতিতে নিরীহ মানূষকে পুড়িয়ে মারছে বিএনপি এবং জামায়াত। যারা এটা করছে, তাদের প্রতি নিন্দা বা ঘৃণা প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন পথ থাকে না।” আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুবুল আলম হানিফ দাবি করেছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সব সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশে চলমান সহিংসতায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ,
  বিবিসি বাংলা, ঢাকা

ফতরের একজন মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে চলমান সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা নিন্দনীয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ এই বিবৃতি দিয়েছেন ।

বাসে অগ্নি সংযোগ এবং ট্রেন লাইনচ্যুতি ঘটানোর মতো বিষয়গুলোকে অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সহিংসতার ব্যবহারকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে ।

একটি গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের কোন যুক্তি থাকতে পারেনা বলেও মনে করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ।

বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে সব বাংলাদেশির মতামত প্রকাশের অধিকার রয়েছে ।

শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির সুযোগ দিতে সরকারের প্রতিও আহবান জানানো হয় ।

এছাড়া সব রাজনৈতিক দল যাতে তাদের কর্মীদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয় সে আহবান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।

এদিকে ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন গত কাল এক বিবৃতিতে চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ।
বাংলাদেশের চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

সহিংসতায় উসকানি দেওয়া থেকে সব রাজনৈতিক দলকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন মি: গিবসন ।

যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্যের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। তবে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ, হরতাল কর্মসূচির মধ্যে পেট্রোল বোমা হামলাসহ নাশকতার ঘটনাগুলো ঘটেছে। সে কারণে বেশি সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে বিএনপিকে।

দলটি অবশ্য নাশকতার জন্য আবারও সরকারকেই দায়ী করেছে।

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারপার্সন হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের আন্দোলনের কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্য থেকে নাশকতা করা হচ্ছে।

“অধিকাংশ নাশকতার ঘটনা সরকার দলীয়রা করছে। বিএনপিকে দোষারোপ করার জন্য। বিএনপি সহিংসতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।”

বিএনপির এই নেতা দাবি করেছেন, নাশকতা,সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের দলের নেত্রী খালেদা জিয়া বক্তব্য দিচ্ছেন এবং বিএনপির পক্ষ থেকেও ঘটনাগুলোর নিন্দা জানানো হচ্ছে।

হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলছেন, মত প্রকাশের সব ধরনের অধিকার সরকার হরণ করছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগও সহিংসতা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের সাথে একমত।

কিন্তু তারা বিএনপি’র অভিযোগ মানতে রাজি নয়।

আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ তাদের সেই পাল্টা অবস্থানই তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, “তালেবান,আলকায়দা বা আইএস এর পদ্ধতিতে নিরীহ মানূষকে পুড়িয়ে মারছে বিএনপি এবং জামায়াত। যারা এটা করছে, তাদের প্রতি নিন্দা বা ঘৃণা প্রকাশ করা ছাড়া আর কোন পথ থাকে না।”

আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুবুল আলম হানিফ দাবি করেছেন, দেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সব সুযোগ রয়েছে।