আগামী শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি ঘোষণা দেন। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের দাবি না মানলে রোববার থেকে অবরোধের সঙ্গে হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেয়া হয়েছে বিবৃতিতে। বিবৃতিতে তিনি বলেন, একইসঙ্গে দেশে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এ ঘোষণার ফলে টানা হরতাল তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোর বাস্তবতা তৈরি হলো। বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ক্রসফায়ারের নামে নেতাকর্মীদের হত্যা, পঙ্গু ও আহত করা, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীসহ নিরীহ জনগণকে গণগ্রেফতার, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে শনিবার দেশের সকল থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা সদর এবং সকল মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণ, সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার লুণ্ঠন, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা ও সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতেও এ কর্মসূচি চলবে।
আগামী শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি ঘোষণা দেন। এছাড়া ২০ দলীয় জোটের দাবি না মানলে রোববার থেকে অবরোধের সঙ্গে হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেয়া হয়েছে বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, একইসঙ্গে দেশে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এ ঘোষণার ফলে টানা হরতাল তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোর বাস্তবতা তৈরি হলো।
বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ক্রসফায়ারের নামে নেতাকর্মীদের হত্যা, পঙ্গু ও আহত করা, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীসহ নিরীহ জনগণকে গণগ্রেফতার, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে শনিবার দেশের সকল থানা, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা সদর এবং সকল মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ ও কুক্ষিগতকরণ, সাংবাদিক নির্যাতন ও সংবাদ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ, জনগণের মৌলিক ও মানবাধিকার লুণ্ঠন, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতা ও সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতেও এ কর্মসূচি চলবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে আরও ঘোষণা করেন, সরকার গণদাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা না দিলে আগামী রোববার থেকে একই দাবিতে চলমান অবরোধের পাশাপাশি সর্বাত্মক হরতালসহ আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বুধবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী ঔদ্ধত্য ভঙ্গিতে ঘোষণা দিয়েছেন, প্রয়োজনে বিএনপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা ইতিপূর্বে অনেকবার দিয়েছে। আওয়ামী মন্ত্রী-নেতারা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্তা ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে আরো ঔদ্ধত্য, অসংযত ও লাগামহীন আচরণে লিপ্ত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ প্রতিনিয়ত বিএনপিকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার বিরামহীন ‘অপচেষ্টা ও অপপ্রচার’ চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে প্রতিদিন সুপরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের দিয়ে সহিংসতা ও পেট্রোল বোমার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভুতি আদায়ের নিস্ফল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাতের খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে অভিযোগ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এবং তার কার্যালয়ে অবস্থানরত সবাই এখনও অভুক্ত অবস্থায় আছেন। ভাতে মারার আর পানিতে মারার নীতি অবলম্বন করে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট ক্যাবলসহ সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে শেখ হাসিনা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন’।
সকল ঘৃণ্য কায়দায় নির্যাতন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সরকার জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে খালেদা জিয়াকে একচুলও সরাতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলেও বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ।
Tag: national
No comments: