'শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দিলে অবরোধ প্রত্যাহার' হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত ২০ দলের ডাকা অবরোধ চলবে বলে ঘোষণা করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ (শুক্রবার) বিকেলে ২০ দলের পক্ষ থেকে তার বনানীর বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, "বিএনপি সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। একটা বছর আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সরকার কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তারা বলেছিল, ৫ জানুয়ারির পর তার ফের নির্বাচন দেবে। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে তারা সরে এসেছে।"
'শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দিলে অবরোধ প্রত্যাহার'
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত ২০ দলের ডাকা অবরোধ চলবে বলে ঘোষণা করেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
আজ (শুক্রবার) বিকেলে ২০ দলের পক্ষ থেকে তার বনানীর বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, "বিএনপি সুষ্ঠু রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। একটা বছর আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সরকার কথা দিয়ে কথা রাখেনি। তারা বলেছিল, ৫ জানুয়ারির পর তার ফের নির্বাচন দেবে। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে তারা সরে এসেছে।"
তিনি বলেন, সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন ঘোষণা করলে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার হতে পারে। বিষয়টি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।
দেশে এখন যেসব সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ড ঘটছে তার জন্য ক্ষমতাসীনদের দায়ী করে বিএনপি এ নেতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সহিংসতার জন্য দায়ী করা হাস্যকর বিষয়। যাকে (খালেদা জিয়া) কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। যেখানে টেলিফোন, ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ, সেখান থেকে সহিংসতা করাতো দূরের কথা কোনো নির্দেশনাও দেয়া যায় না।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, "খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে টেবিল চেয়ার নিয়ে গোয়েন্দা বিভাগের লোকজনকে বসানো হয়েছে। আমরা সরকারের কাছে জানতে চাই, বিএনপি নেত্রী গৃহবন্দী কি না।"
পেট্রলবোমা হামলার বিষয়ে হাফিজ বলেন, এ ধরনের সহিংসতার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নন। সরকারি এজেন্টরা এসব করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এদিকে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট।
আজ (শুক্রবার) ২০ দলের পক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। আজকের এই আহ্বানের পরে আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলেও এর সঙ্গে জড়িতদের কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
এতে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্রতিটি এলাকা পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের প্রতিটি পদক্ষেপ ও কার্যকলাপ সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখুন। খুনি, নির্যাতনকারী ও গণবিরোধী ভূমিকা পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপকর্ম ও নাম-পরিচয় আপনারা তালিকাভুক্ত করে রাখবেন। প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখবেন। আগামীতে এদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহেরও দৃষ্টিআকর্ষণ করেছে ২০ দল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের এ আহ্বানের পরেও আর যদি একটি বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে, অন্যায়ভাবে জুলুম-নির্যাতন, গুম-অপহরণ বন্ধ না হয়, তাহলে এর সঙ্গে জড়িতদের আমরা আগামীতে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলব। খুনি ও অত্যাচারী এবং তাদের দোসরদের ভবিষ্যতে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না।’ ৬ ফেব্রুয়ারি (রেডিও তেহরান):
Tag: national
No comments: