ভারতের রাজধানী দিল্লিতে খ্রীষ্টানদের একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর দুষ্কৃতিরা আবারও আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ ভোরে শহরের একটি কনভেন্ট স্কুলে দুষ্কৃতিরা ঢুকে ডোনেশন বক্স ভেঙ্গে বেশ কয়েক হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে, ক্ষতি করেছে বেশ কিছু সম্পত্তিরও।
এই নিয়ে গত দু'মাসে গীর্জা ও স্কুলসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটলো।
খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পর থেকে কেন বারে বারে তাঁদের সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরেই হামলা হচ্ছে।
দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহারের হোলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুলে আজ ভোর প্রায় তিনটে নাগাদ একদল দুষ্কৃতি ঢুকে প্রথমে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বিচ্ছিন্ন করে দেয়, তারপরে স্কুলের একটি ডোনেশন বক্সে থাকা প্রায় ৮ হাজার টাকা লুট করে নেয়।
সকালে এই ঘটনা জানা গেলে স্কুলটি বন্ধ রাখা হয়, ছাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। খ্রীষ্টান প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে বারে বারে হামলার ঘটনা কেন ঘটছে, তা জানতে চেয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।
বি জে পি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তার পর থেকেই খ্রীষ্টান বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হচ্ছে
ফাদার দমিনিক এমানুয়েল, দিল্লিা রোমান ক্যাথলিক ডায়াসিসের মুখপাত্র
সাম্প্রতিক হামলাগুলি কোনও একটি দুষ্কৃতি দলের কাজ নাকি বিচ্ছিন্ন ঘটনা – সেটা পুলিশকে খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে।
পুলিশ প্রতিটা ঘটনাকেই দুষ্কৃতিদের হামলা বললেও খ্রীষ্টান সম্প্রদায় পুলিশী দাবী নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
দিল্লির রোমান ক্যাথলিক ডায়াসিসের মুখপাত্র ফাদার দমিনিক এমানুয়েল বলছিলেন, যদি মেনেও নেওয়া যায় যে এগুলো চুরিরই ঘটনা, তাও কেন শুধু খ্রীষ্টান স্কুলগুলো বা চার্চে চুরি হচ্ছে?
ফাদার দমিনিকের কথায়, শুধু খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ওপরে নয়, হিন্দুত্ববাদী বি জে পি ক্ষমতায় আসার পরেই সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরেই আক্রমণ বেড়ে গেছে।
তিনি বলছেন, বি জে পি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তার পর থেকেই খ্রীষ্টান বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেই চেনা ভাষাতেই আক্রমণ করা হচ্ছে। এধরণের সব ভাষণ বা চার্চের ওপরে হামলার ঘটনাগুলো যদি বৃহত্তর আঙ্গিকে দেখা যায়, তাহলে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে এইসবটাই মুসলমান বিরোধী, খ্রীষ্টান বিরোধী কর্মকান্ডের ফল।
ধর্মান্তরকরণ বা উস্কানিমূলক ভাষণ অথবা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর একের পর এক হামলার ঘটনায় মুসলামান ও বিশেষ করে ক্রীশ্চানরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও তাঁর মত।
আজকের ঘটনা নিয়ে ডিসেম্বর থেকে দিল্লির খ্রীষ্টান প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে ছয়টি হামলা হল।
এর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে এক প্রতিবাদ মিছিল বার করলে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপরে পুলিশ নির্যাতন চালায় আর অনেককে আটক করে।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে খ্রীষ্টানদের একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর দুষ্কৃতিরা আবারও আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ভোরে শহরের একটি কনভেন্ট স্কুলে দুষ্কৃতিরা ঢুকে ডোনেশন বক্স ভেঙ্গে বেশ কয়েক হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে, ক্ষতি করেছে বেশ কিছু সম্পত্তিরও। এই নিয়ে গত দু'মাসে গীর্জা ও স্কুলসহ ছয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটলো। খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার আসার পর থেকে কেন বারে বারে তাঁদের সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরেই হামলা হচ্ছে। দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত বিহারের হোলি চাইল্ড অক্সিলিয়াম স্কুলে আজ ভোর প্রায় তিনটে নাগাদ একদল দুষ্কৃতি ঢুকে প্রথমে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বিচ্ছিন্ন করে দেয়, তারপরে স্কুলের একটি ডোনেশন বক্সে থাকা প্রায় ৮ হাজার টাকা লুট করে নেয়। সকালে এই ঘটনা জানা গেলে স্কুলটি বন্ধ রাখা হয়, ছাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। খ্রীষ্টান প্রতিষ্ঠানগুলির ওপরে বারে বারে হামলার ঘটনা কেন ঘটছে, তা জানতে চেয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বি জে পি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তার পর থেকেই খ্রীষ্টান বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করা হচ্ছে ফাদার দমিনিক এমানুয়েল, দিল্লিা রোমান ক্যাথলিক ডায়াসিসের মুখপাত্র সাম্প্রতিক হামলাগুলি কোনও একটি দুষ্কৃতি দলের কাজ নাকি বিচ্ছিন্ন ঘটনা – সেটা পুলিশকে খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে। পুলিশ প্রতিটা ঘটনাকেই দুষ্কৃতিদের হামলা বললেও খ্রীষ্টান সম্প্রদায় পুলিশী দাবী নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। দিল্লির রোমান ক্যাথলিক ডায়াসিসের মুখপাত্র ফাদার দমিনিক এমানুয়েল বলছিলেন, যদি মেনেও নেওয়া যায় যে এগুলো চুরিরই ঘটনা, তাও কেন শুধু খ্রীষ্টান স্কুলগুলো বা চার্চে চুরি হচ্ছে? ফাদার দমিনিকের কথায়, শুধু খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ওপরে নয়, হিন্দুত্ববাদী বি জে পি ক্ষমতায় আসার পরেই সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরেই আক্রমণ বেড়ে গেছে। তিনি বলছেন, বি জে পি যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে, তার পর থেকেই খ্রীষ্টান বা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেই চেনা ভাষাতেই আক্রমণ করা হচ্ছে। এধরণের সব ভাষণ বা চার্চের ওপরে হামলার ঘটনাগুলো যদি বৃহত্তর আঙ্গিকে দেখা যায়, তাহলে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে এইসবটাই মুসলমান বিরোধী, খ্রীষ্টান বিরোধী কর্মকান্ডের ফল। ধর্মান্তরকরণ বা উস্কানিমূলক ভাষণ অথবা সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর একের পর এক হামলার ঘটনায় মুসলামান ও বিশেষ করে ক্রীশ্চানরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন বলেও তাঁর মত। আজকের ঘটনা নিয়ে ডিসেম্বর থেকে দিল্লির খ্রীষ্টান প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরে ছয়টি হামলা হল। এর বিরুদ্ধে গত সপ্তাহে এক প্রতিবাদ মিছিল বার করলে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপরে পুলিশ নির্যাতন চালায় আর অনেককে আটক করে।
Tag: world
No comments: