খালেদা জিয়ার বাড়িতে খাবার যাচ্ছে: আইজিপি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়িতে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে হরতাল-অবরোধে খাবার যেতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। শনিবার রাজধানীতে পুলিশ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। আইজিপি বলেন, ২৪ ঘণ্টা খাবার না পেলে যে কোনো মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি এখনো সুস্থ আছেন। আর এ থেকেই বোঝা যায় তিনি নিয়মিত খাবার পাচ্ছেন। পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো ঢালাও অভিযোগ। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইজিপি জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে চলমান সহিংসতায় একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। যাদেরকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হয় তারা বিএনপি-জামায়াতের অঙ্গসংগঠনের কর্মী অথবা তাদের মনোনীত ব্যক্তি। আটককৃতরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও একই রকম জবানবন্দি দিয়েছে। ‘এরপর থেকে বোমাবাজদের এনকাউন্টার করা হবে’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইজিপি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। দেশজুড়ে চলা সহিংসতা প্রসঙ্গে নিয়ে একেএম শহীদুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। আগের তুলনায় যান চলাচল বেড়েছে। ঢাকার জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তিনি বলেন, বোমাবাজির অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ছাত্রদল, যুবদল, শিবির অথবা তাদের ভাড়া করা লোক। এরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। অনুষ্ঠানে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত থেকে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুকনো খাবার খেয়েই কার্যালয়ের কর্মচারী ও চেয়ারপারসনের নিরাপত্তারক্ষীরা দিন কাটাচ্ছেন। শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত কর্মচারীদের আনা খাবারও ফেরত দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

 
খালেদা জিয়ার বাড়িতে খাবার যাচ্ছে: আইজিপি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাড়িতে নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে হরতাল-অবরোধে খাবার যেতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক। শনিবার রাজধানীতে পুলিশ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইজিপি বলেন, ২৪ ঘণ্টা খাবার না পেলে যে কোনো মানুষই অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু তিনি এখনো সুস্থ আছেন। আর এ থেকেই বোঝা যায় তিনি নিয়মিত খাবার পাচ্ছেন।
পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো ঢালাও অভিযোগ। তবে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আইজিপি জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে চলমান সহিংসতায় একজন পুলিশ সদস্যসহ মোট ৫৬ জন নিহত হয়েছেন। যাদেরকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, হয় তারা বিএনপি-জামায়াতের অঙ্গসংগঠনের কর্মী অথবা তাদের মনোনীত ব্যক্তি। আটককৃতরা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছেও একই রকম জবানবন্দি দিয়েছে।
‘এরপর থেকে বোমাবাজদের এনকাউন্টার করা হবে’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইজিপি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
দেশজুড়ে চলা সহিংসতা প্রসঙ্গে নিয়ে একেএম শহীদুল হক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। আগের তুলনায় যান চলাচল বেড়েছে। ঢাকার জীবনযাত্রা প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তিনি বলেন, বোমাবাজির অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা ছাত্রদল, যুবদল, শিবির অথবা তাদের ভাড়া করা লোক। এরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। এ সময় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত থেকে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুকনো খাবার খেয়েই কার্যালয়ের কর্মচারী ও চেয়ারপারসনের নিরাপত্তারক্ষীরা দিন কাটাচ্ছেন। শনিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থানরত কর্মচারীদের আনা খাবারও ফেরত দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।