মিয়ানমারে মুসলমানদের অধিকারের বিরুদ্ধে উগ্র বৌদ্ধদের বিক্ষোভ
: মিয়ানমারের সংসদে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে যখন আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে সে সময় মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধরা মুসলমানদেরকে ন্যূনতম অধিকার দেওয়ার ব্যাপারেও ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে।
মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন অবশ্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মুসলমানদেরকে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়ার একটা অস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা করেছিল। সেইন চেয়েছিল মুসলমানদেরকে সাদা অস্থায়ী আই-ডি কার্ড বা পরিচয় পত্র দিয়ে তার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমাবে। অথচ সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা এই সামান্য অধিকার দিতেও নারাজ।
মিয়ানমার সরকার যে সাদা অস্থায়ী আই-ডি কার্ড বা পরিচয় পত্র দিতে চেয়েছিল সেটাও ছিল এক ধরনের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। মিয়ানমার সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেইসব মুসলমানকেই তারা অস্থায়ী পরিচয়পত্র বা সাদা কার্ড দেবে যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেবে। যদিও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কোনো মানে হয় না, তারপরও মিয়ানমার সরকার তাদের প্রতি এই শর্ত চাপিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আর সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা এই সমস্যাপূর্ণ পদক্ষেপকেও মেনে নিতে চায় না। তারা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে।
বিশেষ করে মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ২ ফেব্রুয়ারিতে নতুন একটি আইন পাস করেছে এই মর্মে যে, এখন থেকে যারাই সাদা কার্ড ধারন করবে, তারা সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
বর্তমানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের খুব কম সংখ্যকই সেদেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। যারা হচ্ছেন তারাও এই অস্থায়ী পরিচয়পত্র বা হোয়াইট কার্ডের অধিকারী। কারুরই পরিপূর্ণ নাগরিকত্ব নেই।
মিয়ানমার সরকার সংবিধান সংশোধনের জন্য যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ ঘোষণা করে নি, তারপরও সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে আগামি সপ্তায় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য মুসলমানদেরকে ভোটাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্টে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই তারা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র বৌদ্ধদের ভয়াবহ আক্রমণ এবং সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেরিতে হলেও মিয়ানমার সরকারের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে এনেছে। এখান উল্লেখ করা যেতে পারে যে মিয়ানমার সরকার তথা নিরাপত্তা বাহিনী উগ্র বৌদ্ধদের সঙ্গে মিলেই সেদেশ থেকে মুসলমানদের নির্মূল করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত। এতো চাপ এতো অভিযোগ সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার এখনও রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে মিয়ানমারের পরিপূর্ণ নাগরিকত্ব দিতে সম্মত হয় নি। এমনকি মুসলমানদেরকে অস্থায়ী পরিচয়পত্র তথা হোয়াইট কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সেদেশের বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
মিয়ানমারে মুসলমানদের অধিকারের বিরুদ্ধে উগ্র বৌদ্ধদের বিক্ষোভ : মিয়ানমারের সংসদে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক অধিকার সংরক্ষণের লক্ষ্যে যখন আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে সে সময় মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধরা মুসলমানদেরকে ন্যূনতম অধিকার দেওয়ার ব্যাপারেও ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন অবশ্য আন্তর্জাতিক চাপের মুখে মুসলমানদেরকে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়ার একটা অস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের চিন্তা করেছিল। সেইন চেয়েছিল মুসলমানদেরকে সাদা অস্থায়ী আই-ডি কার্ড বা পরিচয় পত্র দিয়ে তার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ কমাবে। অথচ সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা এই সামান্য অধিকার দিতেও নারাজ। মিয়ানমার সরকার যে সাদা অস্থায়ী আই-ডি কার্ড বা পরিচয় পত্র দিতে চেয়েছিল সেটাও ছিল এক ধরনের ষড়যন্ত্রেরই অংশ। মিয়ানমার সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেইসব মুসলমানকেই তারা অস্থায়ী পরিচয়পত্র বা সাদা কার্ড দেবে যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচয় দেবে। যদিও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানরা নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কোনো মানে হয় না, তারপরও মিয়ানমার সরকার তাদের প্রতি এই শর্ত চাপিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আর সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা এই সমস্যাপূর্ণ পদক্ষেপকেও মেনে নিতে চায় না। তারা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে। বিশেষ করে মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ২ ফেব্রুয়ারিতে নতুন একটি আইন পাস করেছে এই মর্মে যে, এখন থেকে যারাই সাদা কার্ড ধারন করবে, তারা সংবিধান সংশোধনের জন্য গণভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বর্তমানে রোহিঙ্গা মুসলমানদের খুব কম সংখ্যকই সেদেশের নাগরিক হিসেবে গণ্য হচ্ছেন। যারা হচ্ছেন তারাও এই অস্থায়ী পরিচয়পত্র বা হোয়াইট কার্ডের অধিকারী। কারুরই পরিপূর্ণ নাগরিকত্ব নেই। মিয়ানমার সরকার সংবিধান সংশোধনের জন্য যদিও সুনির্দিষ্ট কোনো দিন-তারিখ ঘোষণা করে নি, তারপরও সেদেশের উগ্র বৌদ্ধরা সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলেছে আগামি সপ্তায় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য মুসলমানদেরকে ভোটাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্টে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই তারা বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র বৌদ্ধদের ভয়াবহ আক্রমণ এবং সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেরিতে হলেও মিয়ানমার সরকারের জন্য মারাত্মক পরিণতি বয়ে এনেছে। এখান উল্লেখ করা যেতে পারে যে মিয়ানমার সরকার তথা নিরাপত্তা বাহিনী উগ্র বৌদ্ধদের সঙ্গে মিলেই সেদেশ থেকে মুসলমানদের নির্মূল করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে ব্যাপকভাবে অভিযুক্ত। এতো চাপ এতো অভিযোগ সত্ত্বেও মিয়ানমার সরকার এখনও রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে মিয়ানমারের পরিপূর্ণ নাগরিকত্ব দিতে সম্মত হয় নি। এমনকি মুসলমানদেরকে অস্থায়ী পরিচয়পত্র তথা হোয়াইট কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সেদেশের বৌদ্ধ উগ্রবাদীরা ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।
Tag: world
No comments: