বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, 'বিজিবি মানুষ হত্যা করতে চায় না। সে ধরনের নির্দেশও বিজিবির ওপর নেই। তবে মানুষ হত্যা করতে দেখলে এবং নিজে আক্রান্ত হলে জীবন বাঁচানোর তাগিদে যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করবে বিজিবি। প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।' তার এ বক্তব্যে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি স্থায়ী কমিটি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, 'বিজিবি মানুষ হত্যা করতে চায় না। সে ধরনের নির্দেশও বিজিবির ওপর নেই। তবে মানুষ হত্যা করতে দেখলে এবং নিজে আক্রান্ত হলে জীবন বাঁচানোর তাগিদে যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করবে বিজিবি। প্রয়োজনে অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।' তার এ বক্তব্যে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি স্থায়ী কমিটি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিজিবি সদর দফতরে বিজিবির এক বছরের অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আজিজ আহমেদ বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি দেশ ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তবে নিরাপত্তার স্বার্থে বিজিবি তাদের কঠোর হাতে দমন করবে।
তিনি আরো বলেন, পেট্রল বোমা হামলাকারীরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করলে জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনে গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়া হতে পারে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে বিজিবির গাড়ির পাশে ককটেল বিস্ফোরণের মতো ৩-৪টি ঘটনা ঘটলেও, তাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি
তিনি জানান, ৩৫টি জেলা প্রশাসক বিজিবি মোতায়েনের জন্য আবেদন করেন। বর্তমানে ১৭টি জেলায় বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। জেলা প্রশাসকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। কিছু কিছু জায়গায় বিজিবি স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে নামানো হবে।
আজিজ আহমেদ বলেন, সীমান্ত পাহারা বিজিবির প্রধান কাজ হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সাহায্য করাও বিজিবির দায়িত্ব।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা ও সন্ত্রাসীদের কবল থেকে জনসাধারণের জানমাল রক্ষা করে বিজিবি সবার 'আস্থা' অর্জন করেছে।
No comments: