শার্লি আবদু অফিসে হামলা পরবর্তী ফ্রান্স ও জার্মানির পরিস্থতি
: শার্লি আব্দু পত্রিকার প্রতিনিধি রিচার্ড মালেকা বলেছেন চলতি সপ্তায় পত্রিকাটি নবীজীর অবমাননাকারী কার্টুন আবারো ছাপবে। শার্লি আবদু’র অফিসে হামলার পর পত্রিকা সংশ্লিষ্টরা কার্টুনগুলো নিয়ে একটি বিশেষ সংখ্যা ছাপানোর কাজ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আগামিকালই ষোলোটি ভাষায় বিশেষ সংখ্যাটি প্রকাশিত হবে বলে শার্লি’র বিশিষ্ট কলামিস্ট প্যাট্রিক পোলো জানিয়েছেন।
শার্লি’র প্রতিনিধি আরো বলেছেন,ওই বিশেষ সংখ্যায় ইসলামের নবীর প্রতি অবমাননাকর ব্যঙ্গ বিদ্রুপাত্মক কার্টুন থাকবে। সাপ্তাহিক এই ম্যাগাজিনটি অবশ্য এর আগেও বহুবার এই কাজটি করেছে।
এদিকে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছেন। আজ থেকে সারা দেশে পুলিশের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করে তোলার জন্য এই সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ফরাশি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ওয়ালেস ইতোপূর্বে বলেছিলেন মোতায়েনকৃত সেনাসংখ্যা প্রায় সাড়ে আট হাজারের মতো। তাদের কাজ হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মসজিদ, গির্যা বা সিনাগগসহ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুমকি ও রোষের হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া। ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নিরাপত্তা রক্ষায় এতো বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনা নজিরবিহীন। এতো বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনায় মনে হতে পারে যে ফ্রান্সের মুসলমান এবং তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা দিচ্ছে সেদেশের সরকার। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। বাস্তবতা হলো গতকাল ফ্রান্সের মুসলমানরা ঘোষণা করেছে গেল সপ্তায় প্যারিস হামলার পর থেকে অন্তত পঞ্চাশটি ইসলামী কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা করা হয়েছে। ফ্রান্সের মুসলমানদের কেন্দ্রিয় পরিষদের মুখপাত্র আবদুল্লা জেকরি বলেছেন, মুসলমানদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত একুশ দফা গুলি চালানো হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। আরো তেত্রিশ জায়গায় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আলকায়েদার তিন সশস্ত্র সদস্য ফ্রান্সের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন শার্লি’র কার্যালয়ে হামলা চালায়। ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন সাংবাদিক এবং ২ পুলিশ সদস্য মারা যায়। ওই ঘটনার পর থেকেই ফ্রান্সে সিরিজ হামলার ঘটনা শুরু হয়েছে।
এদিকে জার্মানিতে ইসলাম বিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেগিডা নামের ওই ইসলাম বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে সমগ্র জার্মানিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিক্ষোভ করে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সহায়তা ও সমর্থনের কথা ঘোষণা করে। ড্রেসডেন শহরে ইসলাম বিরোধী পেগিডা’র বিক্ষোভ মোকাবেলায় সমগ্র জার্মানিতে পাল্টা এই কর্মসূচি পালন করা হয়। জার্মানির স্টুটগার্ট, কোলন, বার্লিন এবং ড্রেসডেন শহরসহ আরও বিভিন্ন শহরে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে নেমে আসে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানায়।
বর্ণবাদী নিউনাৎসি গ্রুপগুলো প্রতি সোমবার ড্রেসডেন শহরসহ জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে সেদেশে মুসলমানদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে মিছিল করে আসছে। ইসলাম বিরোধী তাদের এই বিক্ষোভ ও আন্দোলনই গণমাধ্যমগুলোতে ‘পেগিডা’ নামে প্রচার পেয়ে আসছে। কিন্তু ইসলাম বিরোধী এই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান ঘোষণা করেছে জার্মানির কর্মকর্তারা।
জার্মানির আইন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বলেছে অভিবাসী তথা মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র ডানপন্থিদের বিক্ষোভের ঘটনা জার্মানির জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।#১৩ জানুয়ারি (রেডিও তেহরান)
শার্লি আবদু অফিসে হামলা পরবর্তী ফ্রান্স ও জার্মানির পরিস্থতি : শার্লি আব্দু পত্রিকার প্রতিনিধি রিচার্ড মালেকা বলেছেন চলতি সপ্তায় পত্রিকাটি নবীজীর অবমাননাকারী কার্টুন আবারো ছাপবে। শার্লি আবদু’র অফিসে হামলার পর পত্রিকা সংশ্লিষ্টরা কার্টুনগুলো নিয়ে একটি বিশেষ সংখ্যা ছাপানোর কাজ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। আগামিকালই ষোলোটি ভাষায় বিশেষ সংখ্যাটি প্রকাশিত হবে বলে শার্লি’র বিশিষ্ট কলামিস্ট প্যাট্রিক পোলো জানিয়েছেন। শার্লি’র প্রতিনিধি আরো বলেছেন,ওই বিশেষ সংখ্যায় ইসলামের নবীর প্রতি অবমাননাকর ব্যঙ্গ বিদ্রুপাত্মক কার্টুন থাকবে। সাপ্তাহিক এই ম্যাগাজিনটি অবশ্য এর আগেও বহুবার এই কাজটি করেছে। এদিকে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দশ হাজার সেনা মোতায়েন করেছেন। আজ থেকে সারা দেশে পুলিশের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইউনিটকে আরো শক্তিশালী করে তোলার জন্য এই সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। ফরাশি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ওয়ালেস ইতোপূর্বে বলেছিলেন মোতায়েনকৃত সেনাসংখ্যা প্রায় সাড়ে আট হাজারের মতো। তাদের কাজ হবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত মসজিদ, গির্যা বা সিনাগগসহ দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে হুমকি ও রোষের হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া। ফ্রান্সের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নিরাপত্তা রক্ষায় এতো বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনা নজিরবিহীন। এতো বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েনের ঘটনায় মনে হতে পারে যে ফ্রান্সের মুসলমান এবং তাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা দিচ্ছে সেদেশের সরকার। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। বাস্তবতা হলো গতকাল ফ্রান্সের মুসলমানরা ঘোষণা করেছে গেল সপ্তায় প্যারিস হামলার পর থেকে অন্তত পঞ্চাশটি ইসলামী কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা করা হয়েছে। ফ্রান্সের মুসলমানদের কেন্দ্রিয় পরিষদের মুখপাত্র আবদুল্লা জেকরি বলেছেন, মুসলমানদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অন্তত একুশ দফা গুলি চালানো হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়েছে। আরো তেত্রিশ জায়গায় হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আলকায়েদার তিন সশস্ত্র সদস্য ফ্রান্সের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন শার্লি’র কার্যালয়ে হামলা চালায়। ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ১২ জন সাংবাদিক এবং ২ পুলিশ সদস্য মারা যায়। ওই ঘটনার পর থেকেই ফ্রান্সে সিরিজ হামলার ঘটনা শুরু হয়েছে। এদিকে জার্মানিতে ইসলাম বিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। পেগিডা নামের ওই ইসলাম বিরোধী সংস্থার বিরুদ্ধে সমগ্র জার্মানিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিক্ষোভ করে এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের সহায়তা ও সমর্থনের কথা ঘোষণা করে। ড্রেসডেন শহরে ইসলাম বিরোধী পেগিডা’র বিক্ষোভ মোকাবেলায় সমগ্র জার্মানিতে পাল্টা এই কর্মসূচি পালন করা হয়। জার্মানির স্টুটগার্ট, কোলন, বার্লিন এবং ড্রেসডেন শহরসহ আরও বিভিন্ন শহরে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে নেমে আসে এবং অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানায়। বর্ণবাদী নিউনাৎসি গ্রুপগুলো প্রতি সোমবার ড্রেসডেন শহরসহ জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে সেদেশে মুসলমানদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে মিছিল করে আসছে। ইসলাম বিরোধী তাদের এই বিক্ষোভ ও আন্দোলনই গণমাধ্যমগুলোতে ‘পেগিডা’ নামে প্রচার পেয়ে আসছে। কিন্তু ইসলাম বিরোধী এই নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান ঘোষণা করেছে জার্মানির কর্মকর্তারা। জার্মানির আইন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বলেছে অভিবাসী তথা মুসলমানদের বিরুদ্ধে উগ্র ডানপন্থিদের বিক্ষোভের ঘটনা জার্মানির জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।#১৩ জানুয়ারি (রেডিও তেহরান)
Tag: world
No comments: