'রাজনৈতিক গোলযোগের শিকার রপ্তানি বাণিজ্য' বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধরনের সংকটের আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। শীর্ষ দুটো ব্যবসায়ী সংগঠন সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এমনকি হরতাল অবরোধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় কি-না সে বিষয়েও ভাবছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এফবিসিসিআই।

 'রাজনৈতিক গোলযোগের শিকার রপ্তানি বাণিজ্য'
 
বাংলাদেশের বিরোধীদল বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধরনের সংকটের আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। শীর্ষ দুটো ব্যবসায়ী সংগঠন সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এমনকি হরতাল অবরোধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায় কি-না সে বিষয়েও ভাবছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান এফবিসিসিআই।

আর পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলমান অবরোধের ফলে ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি আবারও ইমেজ সংকটে মুখে পড়েছে রপ্তানীমুখী শিল্পটি।

এই অবস্থায় দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ রাজনীতিবিদদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, তাজরীন অগ্নিকান্ড কিংবা রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর তৈরি হওয়া ইমেজ সংকট কাটিয়ে যখন আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে পোশাক শিল্প, তেমনই সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা আবার তাদের ঠেলে দিচ্ছে পেছনের দিকে।

''আমরা যখন ক্রেতাদেরকে বলছি আমরা আবার ব্যবসায় ফিরে এসেছি তখন ক্রেতারা বলছেন, আমরা গত ১২ দিন ধরে অবরোধের কারণে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছি,'' তিনি বলেন, ''ক্রেতাদের এই বার্তা কিন্তু আমাদের শিল্পের জন্য অশনি সংকেত।''

রাজনীতিবিদরা দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগকে জিম্মি করে রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন মি. ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অবরোধ বা হরতালে প্রতিদিন তাদের ক্ষতি হচ্ছে ৬৯৫ কোটি টাকার।

বিজিএমইএ কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের এই সময়টায় যখন ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার আসার কথা সেসময় অনেক বিদেশি ক্রেতাই এখন বাংলাদেশকে নিরাপদ বলে মনে করছেন না।

বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ আজিম জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান অর্ডার ফিরিয়েও নিয়ে যাচ্ছে।