ফিরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী,
ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে স্তব্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গুলশান কার্যালয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু অসুস্থতা বোধ করায় তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী।
৮টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরটি গুলশান কার্যালয়ের সামনে পৌঁছায়। তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ শীর্ষ নেতারা। এরপর বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন আমু-তোফায়েলসহ এসএসএফ সদস্যরা। তারা শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলার পর ৮টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গাড়িবগরটি ফিরে যায়।
এর আগে শনিবার রাত ৮টা ২২ মিনিটে গুলশান কার্যালয়ের সামনে শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর শুনে অসুস্থতা বোধ করায় তাকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়েছেন চিকিৎসক।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে আশরাফুল আলম খোকন জানান, ছেলের মৃত্যুতে মা খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী গুলশানের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
এর আগে ২০০৯ সালের মে মাসে শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুর পর ধানমণ্ডির সুধা সদনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমবেদনা জানান এবং দুই নেত্রীর মধ্যে কিছুক্ষণ কথাও হয়।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুলশান আগমনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে আসবেন। এ জন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে নেয়ার পথে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান কোকো। রোববার বাদ জোহর মালয়েশিয়ার জাতীয় মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে সোমবার তার লাশ দেশে আসার কথা রয়েছে।
No comments: