১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মিত্র বাহিনীর কাছে চারটি বড় শহরের নাটকীয় পতন ঘটে। শহর চারটি হলো- যশোর, ঝিনাইদহ, সিলেট এবং মৌলভীবাজার। মিত্র বাহিনীর কাছে যশোর ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। বড় সেনানিবাসটি ছিল এখানে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার একটি ছিল এটি। সিলেটও ছিল তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র একটি বিমানবন্দরের জন্যই নয়। পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় যুদ্ধের জন্য কৌশলগত দিক থেকে এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মিত্র বাহিনী এ দিনে ভোরে ঝিনাইদহের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং দুপুরের মধ্যে যশোর অভিমুখে যাত্রা করে। যাত্রাপথে যশোরের কালিগঞ্জে মিত্রবাহিনীকে শত্রুসেনাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। তবে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা এই বাধা অতিক্রম করে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছুতে সক্ষম হয়। বিকেলের মধ্যে মিত্র বাহিনী যশোর সেনানিবাস এবং বিমানবন্দরের দখল নিতে সক্ষম হয়। এ সময় তারা তেমন কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হননি। শত্রু সেনাদের পক্ষ থেকে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। যশোরের নিয়ন্ত্রণ লাভের পর তারা খুলনা অভিমুখে যাত্রা করেন। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহায়তায় মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা সামনে অগ্রসর হতে থাকে। দু’দিন পাকিস্তানী সৈন্যদের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ হয়।
১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মিত্র বাহিনীর কাছে চারটি বড় শহরের নাটকীয় পতন ঘটে। শহর চারটি হলো- যশোর, ঝিনাইদহ, সিলেট এবং মৌলভীবাজার। মিত্র বাহিনীর কাছে যশোর ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর। বড় সেনানিবাসটি ছিল এখানে। তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার একটি ছিল এটি। সিলেটও ছিল তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র একটি বিমানবন্দরের জন্যই নয়। পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় যুদ্ধের জন্য কৌশলগত দিক থেকে এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মিত্র বাহিনী এ দিনে ভোরে ঝিনাইদহের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে এবং দুপুরের মধ্যে যশোর অভিমুখে যাত্রা করে। যাত্রাপথে যশোরের কালিগঞ্জে মিত্রবাহিনীকে শত্রুসেনাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়। তবে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা এই বাধা অতিক্রম করে লক্ষ্যস্থলে পৌঁছুতে সক্ষম হয়। বিকেলের মধ্যে মিত্র বাহিনী যশোর সেনানিবাস এবং বিমানবন্দরের দখল নিতে সক্ষম হয়। এ সময় তারা তেমন কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হননি। শত্রু সেনাদের পক্ষ থেকে একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। যশোরের নিয়ন্ত্রণ লাভের পর তারা খুলনা অভিমুখে যাত্রা করেন।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর সহায়তায় মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা সামনে অগ্রসর হতে থাকে। দু’দিন পাকিস্তানী সৈন্যদের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ হয়।
দেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সিলেটে মিত্র বাহিনীর সৈন্যরা ঝটিকা অভিযান চালিয়ে উপকণ্ঠ থেকে শহরে প্রবেশ করে। পাকিস্তানী সৈন্যরা কোন প্রকার প্রতিরোধ গড়ে তোলেননি। এই প্রথমবারের মতো মিত্র বাহিনী সম্মুখে এগিয়ে যেতে সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। দিনের শেষে মৌলভীবাজার মিত্র বাহিনীর দখলে চলে যায়।
মিত্র বাহিনী এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অদূরে যে কোন মুহূর্তে সর্বাত্মক হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। মিত্রবাহিনী দেশের উত্তরাঞ্চলে যাত্রা করে এবং বগুড়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায়। সারাদেশে এভাবে মিত্রবাহিনী এগিয়ে যাবার পর তারা পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক ও সামরিক সদর দফতর ঢাকায় হামলা চালাতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যায়। এ সময়ে ঢাকায় আটকাপড়া আমেরিকানদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য ভারতের অনুমতি চায় যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে তারা পাকিস্তান সরকারের সহায়তা চেয়েছিল। কিন্তু তারা তখন সাফ জানিয়ে দেয় আকাশপথ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। এ অবস্থায় মাত্র চার ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি করতে সম্মত হয়। তথাপি অজ্ঞাত কারণে আমেরিকানদের উদ্ধারে কোন বিমান এ সময়ে দেখা যায়নি।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনে পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এবং যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রস্তাব তোলা হয়। পাকিস্তান এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় কিন্তু ভারত এতে কোন সম্মতি জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনকে লেখা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান উপমহাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে তার মতামত তুলে ধরেন। পূর্ব পাকিস্তানে এভাবে ভারতীয়রা অবাধ চলাচলের সুযোগ পেলে উপমহাদেশে পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। তার মতে আসাম, বার্মা এবং শ্রীলংকাসহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া সোভিয়েত বলয়ে পতন ঘটবে। অবশ্য পরবর্তীতে তার এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।
পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রন্টে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি এলাকায় ভারতীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। তবে অল্প সময়ের মধ্যে পিছু হটে আসে।
মার্কিন বিশ্লেষকদের মতে ভারত পশ্চিমাঞ্চলীয় ফ্রন্টে আত্মরক্ষামূলক অবস্থান নিয়েছিল। পাকিস্তানের ধারণা ছিল তারা জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে পূর্ব পাকিস্তান তাদের নিয়ন্ত্রণে ফিরে পেতে সহজ হবে। ভারতকে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে। এটি ছিল তাদের ভুল ধারণা।
No comments: