বন্দি নির্যাতনে জড়িত মার্কিন কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
বন্দিদের ওপর মার্কিন বাহিনীর নির্যাতন বন্দিদের ওপর মার্কিন বাহিনীর নির্যাতন
: বন্দি নির্যাতনে জড়িত মার্কিন কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। আল-কায়েদার সন্দেহভাজন বন্দিদের ওপর মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’এর নির্যাতনের প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর এ আহ্বান জানানো হলো। বন্দিদের ওপর সিআইএ বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছে বলে গতকাল মার্কিন সিনেটে প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯/১১’র ঘটনাবলীর পর সিআইএ জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে বর্বরোচিত নির্যাতন চালিয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, এভাবে নির্যাতন চালিয়ে সিআইএ যে সব তথ্য যোগাড় করেছে তা সম্ভাব্য হুমকি নস্যাত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।
এ ছাড়া বন্দি নির্যাতনের বিষয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদ ও জনগণকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে সিআইএ। ওয়াটারবোর্ডিং বা নাকে মুখে পানি ঢেলে স্বীকারোক্তি আদায়ের যে নিষ্ঠুর পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে তার মারাত্মক প্রতিক্রিয়া পড়েছে বন্দিদের দেহে। এতে তাদের প্রচণ্ড বমি ও খিঁচুনি হয়েছে।
মানবাধিকার এবং সন্ত্রাসবিরোধী জাতিসংঘের বিশেষ দূত বেন এমারসন বলেন, মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা বন্দিদের ওপর নির্যাতনের পরিকল্পনা করেছেন এবং যারা এ ধরনের অপরাধের অনুমোদন দিয়েছেন তাদের বিচার করতে হবে। একইসঙ্গে বন্দিদের ওপর নির্যাতন চালানোর সঙ্গে জড়িত সিআইএ এবং মার্কিন সরকারের কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, বন্দি নির্যাতনের এ নীতি উচ্চ মহল থেকে পরিচালনা করা হয়েছে।
বেন এমারসন আরো বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক বন্দি নির্যাতনে জড়িতদের বিচার করতে বাধ্য আমেরিকা। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ উত্থাপন করা এখন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রথ বলেছেন, সিআইএ’র ওই তৎপরতা অপরাধমূলক এবং কোনোভাবেই তাকে ন্যায়সঙ্গত বলা যাবে না। তিনি আরো বলেন, নির্যাতনে জড়িত মার্কিন কর্মকর্তাদের বিচার করা না হলে আমেরিকার ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্টরাও এ ধরনের নীতি গ্রহণ করবেন।# ১০ ডিসেম্বর (রেডিও তেহরান)
No comments: