লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক গৃহবধূ নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানি, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শৌশালিয়া গ্রামে নাজমা বেগম নামের গৃহবধূ এক স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করে অন্য স্বামী গ্রহণ করেছেন। দুই স্বামীই নাজমাকে নিয়ে সংসার করতে আগ্রহী। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য শালিস হলেও কোনো সমাধান হয়নি। সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম শৌশালিয়া গ্রামের সাহাদাত হোসেনের অকাল মৃত্যু হলে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের একই গ্রামের আ. করিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক গৃহবধূ নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানি,
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার শৌশালিয়া গ্রামে নাজমা বেগম নামের গৃহবধূ এক স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ না করে অন্য স্বামী গ্রহণ করেছেন। দুই স্বামীই নাজমাকে নিয়ে সংসার করতে আগ্রহী। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য শালিস হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম শৌশালিয়া গ্রামের সাহাদাত হোসেনের অকাল মৃত্যু হলে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের একই গ্রামের আ. করিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর সূত্র ধরে তারা ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এর কিছুদিন পর নাজমা বেগম ফেসবুকের সূত্র ধরে লামচর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে সালেহ উদ্দিন মানিকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। ৪ মাস আগে স্কাইপে কথপোকথনের এক পর্যায়ে সালেহ উদ্দিন মানিকের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন নাজমা। আ. করিমের অভিযোগ, নাজমা তার বসতঘর থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গভীর রাতে মানিকের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। এ ব্যাপারে আ. করিম ১০ নভেম্বর রামগঞ্জ থানার অভিযোগ দায়ের করেন। আ. করিম জানান, নাজমা তাকে তালাক না দিয়ে অন্যের ঘর করতে পারেন না। এ নিয়ে কয়েকদফা বিচার শালিস হলেও কোনো সমাধান হয়নি। সালেহ উদ্দিন মানিকের পিতা আবুল হাসান বলেন, করিমের সঙ্গে নাজমার পূর্বে কি সম্পর্ক ছিল আমাদের জানার প্রয়োজন নেই। পুত্রবধূ হিসেবে আমি নাজমাকে মেনে নিয়েছি। মুঠো ফোনে নাজমা বেগম বলেন, ‘করিম আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। মানিক সবকিছু জেনেশুনে আমাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
No comments: