টিআই’র উদ্দেশ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন; জবাব ইফতেখারের : ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুই ধাপ নেমে গিয়ে ১৪তম অবস্থান বাংলাদেশের। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে, গত এক বছরে দুর্নীতি বেড়ে যাওয়াতেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিআই’র উদ্দেশ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন; জবাব ইফতেখারের
: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুই ধাপ নেমে গিয়ে ১৪তম অবস্থান বাংলাদেশের। বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে, গত এক বছরে দুর্নীতি বেড়ে যাওয়াতেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই এ নিয়ে সরব ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলটির নেতাদের অভিযোগ ভুল তথ্যের ভিত্তিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ নিয়ে কথা বলেছেন। সবশেষ এ নিয়ে কথা বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি। সবাই বলে। কিন্তু টিআইবির মুখে কখনও যারা হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোন কথা শোনা যায়নি। তারা হঠাৎ হঠাৎ কেন সরব হয়? টিআইবি’র উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর জবাবে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান রেডিও তেহরানকে বলেন, "ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে, মানুষ সুশাসন পাবে, এটাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার ও দলের শীর্ষ নেতারা যে উদ্দেশ্য প্রকাশ করে থাকেন তাকে সুদৃঢ় করা, ভুল ত্রুটি দেয়ার জন্যই আমরা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকি।"
ভুল তথ্যের ভিত্তিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই এমন প্রতিবেদন করা হয়েছে- আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন অভিযোগও নাকচ করে দেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ১২টি গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনের আলোকেই দুর্নীতি ধারণা সূচক তৈরি করা হয়েছে। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিকস, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গবেষণার তত্ত্বকে এখানে ব্যবহার করেই প্রতিবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই বলেই দাবি করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
কোনো বিশেষ সরকার টিআইবির উদ্দেশ্য নয় বলেও জানান ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, সব সরকারের আমলেই দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছে টিআইবি। এটা ২০তম প্রতিবেদন। গবেষণায় যা পাওয়া যায় তা নিয়েই প্রতিবেদন করা হয়। বিশেষ সরকার নয়, জনগণ ও রাষ্ট্রের স্বার্থেই কাজ করে টিআইবি।#৫ ডিসেম্বর (রেডিও তেহরান)
No comments: