পশ্চিমা দেশে মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় অনলাইন ডেটিং, পশ্চিমা দেশগুলোয় বেড়ে ওঠা এশীয়-বংশোদ্ভূত মুসলিমদের মধ্যে অনলাইন ডেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
পশ্চিমা দেশে মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় অনলাইন ডেটিং,
পশ্চিমা দেশগুলোয় বেড়ে ওঠা এশীয়-বংশোদ্ভূত মুসলিমদের মধ্যে অনলাইন ডেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
এসব পরিবারের তরুণ মুসলিমরা মনে করছেন, অনলাইন ডেটিং তাদেরকে চাপমুক্তভাবে ছেলেমেয়ের পরিচয় এবং বিয়ের সুযোগ খুলে দিয়েছে।
এর ফলে গত এক-দেড় দশকে গজিয়ে উঠেছে বহু মুসলিম ঘটকালি বা ম্যাচ-মেকিং ওয়েবসাইট।
সিঙ্গলমুসলিম ডট কম, মুসলিম ম্যাট্রিমনি ডট কম, হিপস্টাশাদী ডট কম – ইত্যাদি নানা নামের বহু ওয়েবসাইটের সন্ধান এখন মিলবে ইন্টারনেটে।
আদিম ইউনিস হচ্ছেন সিঙ্গলমুসলিম ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা। শুরু করেছিলেন ইয়র্কশায়ারের ওয়েকফিল্ডে একটা ফাস্ট ফুড দোকানের ওপর তলায় ছোট্ট অফিস থেকে।
এখন তার সদস্য সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। প্রতি দিন এখানে গড়ে প্রায় চারটি করে বিয়ের ঘটকালি হচ্ছে।
“ইসলামে বিয়েকে দেখা হয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে, যার শিক্ষা হলো – বিয়ে হচ্ছে সমাজের অন্যতম ভিত্তি” – বলছিলেন মি. ইউনিস
অপেক্ষাকৃত রক্ষণশীল এসব সংস্কৃতিতে বিয়ে হচ্ছে এমন একটা ব্যাপার - যাতে কার সাথে কার বিয়ে হবে তা ঠিক হয় পারিবারিকভাবে।
অনেক তরুণতরুণীই একে একটা বিরাট মানসিক চাপের বিসয় হিসেবে দেখেন। তাদের কাছে ‘অনলাইন ম্যাচমেকিং’ একটা যোগাযোগের জানালা খুলে দিয়েছে।
এখানে ধর্মবিশ্বাস, ভাষা, পারিবারিক পটভূমি ইত্যাদি নানা রকম ভিত্তিতে বিয়ের জন্য পাত্র বা পাত্রী খুঁজে নেবার সুযোগ আছে।
অনলাইনে পরিচয়ের পর ক্যাথরিনকে বিয়ে করেছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ । তাদের এখন দুটি সন্তান।
মোহাম্মদ বলছেন, ধর্মভীরু মুসলিমরা ক্লাব বা পাবে যান না, তাই পারিবারিক পরিমন্ডলের বাইরে যোগাযোগের সুযোগ সীমিত।
স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মোহাম্মদ
তিনি আরো বলছিলেন, অনলাইনে প্রথম পরিচয়ের তিন চার মাসের মধ্যেই তিনি এবং ক্যাথরিন বিয়ে করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই ক্যাথরিন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
অবশ্য মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অনেক দেশে অনলাইন ডেটিংকে সবাই ভালো চোখে দেখেন না।
তারা মনে করেন, অনলাইনের জগৎ মিথ্যায় ভরা এবং বিয়ে পারিবারিক যোগাযোগের মধ্যে দিয়েই হওয়া উচিত।
কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোয় মুসলিমদের মধ্যে অনলাইন ডেটিং বা ম্যাচমেকিং সাইট ক্রমশই আরো বেশি করে জনপ্রিয় হচ্ছে।
আদিম ইউনিস তার সিঙ্গলমুসলিম ডট কম সাইট চালু করেছিলেন ২০০০ সালে।
এখন এটা তার পুরোদস্তুর পেশায় পরিণত হয়েছে – যা শুরুতে তার কল্পনার অতীত ছিল।
No comments: