স্থায়ী ব্রিটিশ ঘাঁটির প্রতিবাদে বাহরাইনে বিক্ষোভ : বাহরাইনে স্থায়ী ব্রিটিশ নৌঁঘাটি নির্মাণের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সিত্রা দ্বীপের ‘মিনা সালমান’ বন্দরে এ ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে দ্বীপটির বাসিন্দারা আজ রাস্তায় নেমে আসে এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তারা অবিলম্বে স্থায়ী ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
স্থায়ী ব্রিটিশ ঘাঁটির প্রতিবাদে বাহরাইনে বিক্ষোভ
: বাহরাইনে স্থায়ী ব্রিটিশ নৌঁঘাটি নির্মাণের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। সিত্রা দ্বীপের ‘মিনা সালমান’ বন্দরে এ ঘাঁটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে দ্বীপটির বাসিন্দারা আজ রাস্তায় নেমে আসে এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তারা অবিলম্বে স্থায়ী ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
এছাড়া বাহরাইনের সরকার-বিরোধী নেতারা এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, এই চুক্তির মধ্যদিয়ে বাহরাইন গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি সামরিক বাহিনীর অভিযানের মূল ঘাঁটিতে পরিণত হবে।
বাহরাইনের মানবাধিকার কেন্দ্রের প্রধান ও সরকারবিরোধী রাজনীতিবিদ নাবিল রজব বলেছেন, বাহরাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের নিরবতার পুরস্কার হিসেবে সেদেশকে স্থায়ী ঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন- বাহরাইনের স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।
বাহরাইন সরকারের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ‘মিনা সালমান’ বন্দরে ব্রিটেনের স্থায়ী নৌঁঘাটিটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ ডলার।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন এ ঘাঁটি প্রসঙ্গে বলেছেন- ‘আমরা পারস্য উপসাগরে আবারো স্থায়ীভাবে অবস্থান করতে যাচ্ছি।’
বর্তমানে বাহরাইনে রয়েছে আমেরিকার বিশাল নৌঘাঁটি। এটি মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে বড় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বাহরাইনের রাজতান্ত্রিক সরকারের প্রতি দেশটির জনগণের সমর্থন না থাকলেও পাশ্চাত্য এবং সৌদি আরবের মতো কিছু আঞ্চলিক দেশের সমর্থনে তারা ক্ষমতা আকড়ে আছে।#
৭ ডিসেম্বর (রেডিও তেহরান)
No comments: