নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ‘সেভেন মার্ডার’ অভিযান শেষে র্যাব সদস্যদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে মেজর (অব.) আরিফকে নির্দেশ দিয়েছিলেন লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ। ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এ নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। আরিফের নেতৃত্বে ৭টি লাশ ডুবিয়ে র্যাব সদস্যরা ফিরে আসার পথে গভীর রাতে নৌকাঘাটে তারেক নিজেই হাজির হন। তিনি সেখানে সৈনিকদের উদ্দেশে ব্রিফ করেন। ঘটনার গোপনীয়তা রক্ষার নির্দেশ দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘সমস্যা নাই’।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত অপহরণ ও খুনের আদ্যোপান্ত জানতেন তিনি। মূলত তার নির্দেশেই এই অপহরণের ঘটনা ঘটে বলে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। তবে হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে জবানবন্দিতে তিনি ‘কৌশলী শব্দ’ ব্যবহার করেছেন। ঘটনার বিস্তারিত খোলাসা করলেও তিনি ‘খুনের নির্দেশ’ দেয়ার বিষয়টি কোথাও বলেননি।
তারেক সাঈদ মোহাম্মদ ৩২ দিনের রিমান্ড শেষে ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কেএম মহিউদ্দীনের আদালতে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা ধরে এই জবানবন্দি দেন। ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় কঠোর গোপনীয়তায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
No comments: